ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় বান্দরবানে বিএনপির সম্মেলন পণ্ড
বান্দরবানে দুইপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় পৌর বিএনপির সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। এর মধ্যে পুলিশ একপক্ষের নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে।সম্মেলনের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতাই করতে পারেননি আয়োজকরা। একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যাকে আবার ‘পকেট কমিটি’ বলেছে একটি পক্ষ।
আজ শুক্রবার বিকেলে বান্দরবান বাজারের চৌধুরী মার্কেটের অস্থায়ী কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সম্মেলন ঘিরে জেলা বিএনপির ‘বহিষ্কৃত’ সভাপতি সাচিং প্রু জেরি এবং পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজার অনুসারীদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন আহত হন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়েই এ সম্মেলনের আয়োজন করে সাচিং প্রু জেরির সমর্থকরা। খবর পেয়ে জেলা বিএনপির ‘বহিষ্কৃত’ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মাবুদ, যুবদলের আহ্বায়ক আবু বক্কর, শ্রমিক দলের সহসভাপতি নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলের দিকে অগ্রসর হয়। তাদের মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিক্ষোভকারীরা আবারও সংগঠিত হয়ে সম্মেলন স্থলে হানা দিলে পুলিশ ফের লাঠিপেটা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে সম্মেলন কার্যত পণ্ড হয়ে যায়।
এ অবস্থার মধ্যেই তড়িঘড়ি করে সাচিং প্রু জেরির সমর্থক হিসেবে পরিচিত নাছির উদ্দিন চৌধুরীকে সভাপতি, নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক এবং কবির আহমেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে পৌর বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মহতুল হোসেন যত্ন।
তবে এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না সাচিং প্রু জেরি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমানসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।
জেলা বিএনপির একাংশের নেতা আব্দুল মাবুদ বলেন, সংগঠন গোছানোর নামে সাচিংপ্রু জেরি ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের দায়িত্বশীল পদগুলোতে বসিয়ে ‘পকেট কমিটি’ গঠন করছে। যা বিএনপির গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। জনবিচ্ছিন্ন নেতা-কর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের কারণে বিএনপি সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি নেতা কাজী মহতুল হোসেন যত্ন বলেন, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মঠ নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির নেতা সাচিং প্রু জেরি বলেন, পছন্দের ব্যক্তিদের প্রধান্য দেওয়া হচ্ছে এটি সত্য নয়। পৌর বিএনপির সম্মেলনে হামলা দুঃখজনক।