সোনালীর টাকা আত্মসাৎ : কর্মকর্তার নামে মামলা
বাগেরহাটে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের নামে ঋণ জালিয়াতি করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক বজলুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় সোনালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তোজাম্মেল হক এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি তদন্ত করবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা বিভাগীয় পরিচালক।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ অডিট চলাকালে সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাট শাখার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানের কাছে ঋণের কাগজপত্র চাইলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। এর পর থেকে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে ঋণের কাগজপত্র পর্যালোচনা শুরু হয় এবং তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি প্রায় এক মাস তদন্ত করে ব্যাংকের মাস্টার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সঞ্চয় স্কিমের ১১০টি হিসেবে বিপরীতে ঋণ জালিয়াতি করে মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করার তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।
ব্যাংকের বাগেরহাট আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা আশুতোষ মণ্ডল জানান, অডিট টিমের কাছে ডকুমেন্ট দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করে আত্মীয়ের মৃত্যুর অজুহাত দিয়ে মাহফুজুর রহমান ব্যাংক ত্যাগ করেন। এর পর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যাচ্ছে না।
আশুতোষ মণ্ডল আরো জানান, ওই কর্মকর্তাকে যোগদান করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ছাড়া আত্মসাৎকৃত অর্থের ৩৫ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছেন।
তবে মাহফুজুর রহমানের পরিবার দাবি করেছে, এ ঘটনায় ব্যাংকের প্রভাবশালী এক সিবিএ নেতাসহ কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।