বাড়ির লোকদের অচেতন করে গৃহকর্মী পলাতক
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়ার খলিশাদহ গ্রামের একটি বাড়ির অন্তঃসত্ত্বা এক নারীসহ চারজনকে আজ সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাড়ির গৃহকর্মী টাকা, প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি এলসিডি টিভি নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
পুলিশের ধারণা, রাতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির লোকদের অচেতন করে গৃহকর্মী মালামাল নিয়ে পালিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানায়, আজ সোমবার সকালে খলিশাদহ গ্রামের শহিদুল হকের বাড়িতে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া পাওয়া না গেলে বাড়ির ভেতরে ঢুকে চার সদস্যকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে অচেতন শহিদুল, তাঁর স্ত্রী রুবী আক্তার (৬০), নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে শিমু আক্তার (৩২) ও সাবিনা খাতুনকে দ্রুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
শহিদুলের ভগ্নিপতি ওসমান গণি এনটিভি অনলাইনকে জানান, গৃহকর্মী সীমার বাড়ি মাগুরা জেলায়। সেখান থেকে তাঁর ছোট মেয়ের স্বামী রুবেল এক মাস আগে সীমাকে শহিদুলের বাড়িতে কাজের জন্য নিয়ে আসেন।
ওসমান গণি জানান, সীমা একটা এলসিডি টিভি এবং শহিদুলের এক পুত্রবধূ ও তিন মেয়ের প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ বেশ কিছু জিনিস নিয়ে পালিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কুষ্টিয়া সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুব-উজ জামান জানান, রাতে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তা খাইয়ে বাড়ির চার সদস্যকে অচেতন করা হয়। এরপর গৃহকর্মী সীমা টাকা ও সোনাদানা নিয়ে পালিয়ে গেছে। দ্রুত গৃহকর্মী সীমাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।