খাগড়াছড়িতে জেএসএস নেতা মোহন হত্যাকাণ্ডে দুজন গ্রেপ্তার
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) এম এন লারমা পক্ষের নেতা মোহন ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পাতাছড়ার বাজার চৌধুরীঘাট ও রামগড় পৌরসভা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতে নেওয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—মামলার এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি বৈদ্যপাড়া এলাকার রাপ্রু মারমা অগ্য (৩৫) ও তিন নম্বর আসামি ছোট খেদা গ্রামের কর্তা মারমা (৪০)।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত সোমবার পৌর শহরে মোহন ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান শুরু করে বিজিবি ও পুলিশ। পরে গতকাল বিকেলে চৌধুরীঘাট থেকে রাপ্রু মারমা অগ্য ও রামগড় পৌরসভা এলাকা থেকে কর্তা মারমাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রামগড় পৌর শহরের জগন্নাথপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে জেএসএসের রামগড় উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালেক্টর মোহন ত্রিপুরাকে হত্যা করে। পরে ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হ্যাপী ত্রিপুরা ১১ জনের নাম উল্লেখ করে রামগড় থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, মোহন হত্যাকাণ্ডের জন্য জেএসএস নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করে। জেএসএসের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরেই ওই ঘটনা ঘটে বলে দাবি ইউপিডিএফের।