খালেদা জিয়ার আইনজীবী বললেন, হাইকোর্টে যাব
খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আজ বুধবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘বিচারকের প্রতি আমাদের আগেও আস্থা ছিল না, এখনো নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা হাইকোর্টে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। হাইকোর্টে মামলা পেন্ডিং থাকা অবস্থায় আদালত এ আদেশ দিতে পারেন না।’
বেলা পৌনে ১১টার দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মামলা দুটিতে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে খালেদা জিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থাকা অন্য দুজন হলেন কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ।
রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে। মামলা দুটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল আজ। শুরুতেই নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারছেন না জানিয়ে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। পাশাপাশি সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করারও আবেদন জানান তাঁরা। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদের অসমাপ্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন। তিনি এ মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী।
এ দুই মামলায় সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ পর্যন্ত ৫৫ কার্যদিবসে সাতবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসার অস্থায়ী আদালতে হাজিরা দেন তিনবার। গত বছরের ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই শুরু হয়েছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে জিয়া অরফানেজ ও ২০১১ সালে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মোট আসামি নয়জন।