সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে বিস্ফোরণ!
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় সিলিন্ডার থেকে গ্যাস চুরি করতে গিয়েই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আর এতে দগ্ধ হন সাতজন। তাঁরা এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা আজ বুধবার সকালে সদর উপজেলার খবংপুড়িয়া গ্রামে যান। সেখানে তাঁরা বিস্ফোরণের নানা তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বিস্ফোরক পরিদপ্তরের চট্টগ্রামের পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ মেহেদী ইসলাম খান ও খাগড়াছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বায়েছুল ইসলাম।
বিস্ফোরক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আমরা যেটা আপাত দৃষ্টিতে মনে করতেছি, যেটা দেখতেছি যে, এটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা না। এটা বড় ধরনের বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা। বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে রিফিল করার সময় ঘরে গ্যাস জমে যায়। পরে বিদ্যুতের সুইচ দেওয়ার সময় শটসার্কিট হয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।’
‘ক্যান্টন চাকমা মূলত গ্যাসের ডিলার। তাঁর শুধু গ্যাস সিলিন্ডার মজুদ ও বিক্রয়ের অনুমতি আছে। কিন্তু অবৈধ উপায়ে অধিক মুনাফায় লোভে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করতে গেলে ওই দুর্ঘটনা ঘটে’, বলেন তোফাজ্জল হোসেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধিদল খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদাতের (ওসি) সঙ্গে দেখা করে।
এ ব্যাপারে ওসি বলেন, ‘গতকাল যে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল, তদন্ত কমিটি রোববার নাগাদ সুপারিশসহ সে ব্যাপারে তদন্তের রিপোর্ট পাঠাবে বলে জানিয়েছে। ওই তদন্তের সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার ভোরে খবংপুড়িয়া গ্রামে ইয়ংস্টার ক্লাবের সামনে গ্যাসের ডিলার ক্যান্টন চাকমার গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হন। বর্তমানে তাঁদের তিনজন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল এবং চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।