লাঞ্ছনার অভিযোগ, ওষুধ সরবরাহ বন্ধের হুমকি
ওষুধ প্রতিষ্ঠানের তিনজন প্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত ফার্মাসিটিকেলস মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া)
বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে ওষুধ প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল বের করে বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সোমবার দুপুরে কয়েকজন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ সদর হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য গেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনিবুর রহমান ও মুশফিকুল আলম হালিম তিনজন মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভকে ধরে প্রকাশ্যে অর্ধনগ্ন ও কান ধরে শারীরিক শাস্তি প্রদান করেন। যা অমানবিক, আইন বহির্ভূত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এ ঘটনার ফলে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভরা সামাজিক ও পারিবারিকভাবে অপমানিত হয়েছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ফারিয়ার আহ্বায়ক নাজমুল হক জানিয়েছেন , আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে দুই ম্যাজিস্ট্রেট মুনিবুর রহমান ও মুশফিকুল আলম হালিমের অপসারণ ও শাস্তি দাবি করা হয়েছে। দাবি মানা না হলে, জেলার সব ফার্মেসির দোকানে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেন তিনি।