কবর থেকে তোলা হলো ৩৮ দিনের শিশুর লাশ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের কবর থেকে আজ বুধবার ৩৮ দিন বয়সী এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শিশুটির মা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে সন্তান হত্যার অভিযোগে মামলা করলে আদালতের নির্দেশে ওই লাশ উত্তোলন করা হয়।
শিশুটির নাম মারফত। সে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মাসুদ আলী খাঁ ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন বলরামপুর গ্রামের যূথী খাতুনের ছেলে।
যূথী খাতুন এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী মাসুদের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার ৩৮ দিন বয়সী একমাত্র সন্তান মারফতের নিথর দেহ। পরে ওই দিনই শ্রীপুর গ্রামের কবরস্থানে তাঁর সন্তানকে দাফন করা হয়।
যূথী খাতুন অভিযোগ করেন, ঝগড়ার পর ২৯ তারিখ রাতে তাঁর স্বামী নিষ্পাপ সন্তানকে হত্যা করেছেন। এর বিচার চেয়ে ও ময়নাতদন্তের আবেদন করে তিনি ১ অক্টোবর জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম বেগম ফাহমিদার আদালতে মামলা করেন। আদালত তাঁর আর্জি গ্রহণ করে তা মামলা হিসেবে নিতে এবং শিশু সন্তানের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এরশাদুল কবীর জানান, আদালতের নির্দেশে আজ সকাল ১০টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা পারভীনের উপস্থিতিতে শিশুটির লাশ তুলে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে শিশুর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আহত শাহজাহানের মৃত্যু
এদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত শাহজাহান আলী (৫০) নামের এক কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, শাহজাহান আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁর চাচাতো ভাইদের বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ৫ জুন বাড়িতে হামলা চলিয়ে শাহজাহানকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা করে আহত ব্যক্তি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে থাকেন। কয়েকদিন আগে শাহজাহান হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এসআই এমদাদুল আরো জানান, আজ দুপুরে পুলিশ শাহজাহানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।