অস্ত্রসহ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সুজ্জলকে (৩৮) অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে তাঁর দল ও পরিবার।
আজ বুধবার ভোরে গোয়ালন্দ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ানপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে সুজ্জলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল।
র্যাব ৮-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সুজ্জলকে একটি ৭.৬৫ মি.মি. বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে সুজ্জলের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, ‘রাত ৩টার দিকে র্যাব পরিচয় দিয়ে কয়েকজন আমাদের শোয়ার ঘরের দরজা ধাক্কাতে থাকে। আমার স্বামী দরজা খুলে দিলে তাঁকে বাইরে নিয়ে যায় এবং র্যাবের এক সদস্য ঘরে ঢুকে বিছানার নিচে একটি অস্ত্র রেখে দেয়। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে ধমক দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেয়। গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এদিকে সুজ্জলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় বলা হয়, ‘সুজ্জলের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের ঘটনাটি সাজানো নাটক হতে পারে। তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ আমাদের জানা নেই। দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মণ্ডল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুর রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ বি এম বাতেন প্রমুখ।
এ ছাড়া সুজ্জলকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তাঁর মুক্তির দাবিতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে মানববন্ধন ও পথসভা করে।