খাগড়াছড়িতে হরতাল শুরুর পর ‘প্রশাসনের আশ্বাসে’ প্রত্যাহার
তিন দফা দাবিতে খাগড়াছড়িতে আজ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরুর পর ‘প্রশাসনের আশ্বাসে’ তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের ডাকে হরতাল শুরু হয়। এর কিছু পরেই সংগঠনটির পক্ষ থেকে হারতাল প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা আসে।
গত সোমবার রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে ব্রাশফায়ারে আট নির্বাচনী কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এসব হত্যার প্রতিবাদে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ আজকের হরতালের ডাক দেয়। সংগঠনটির নেতারা এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করেছেন।
আজ সকালে হরতাল শুরুর পর সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে জেলা সদরের বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে পিকেটাররা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং পিকেটারদের ধাওয়া করে।
হরতালের কারণে ভোর থেকে জেলা শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টমটম, মোটরসাইকেল, রিকশা চলাচল শুরু হয়। তবে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সকালে বাঙালি ছাত্র পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নজরুল ইসলাম মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে আটজনকে হত্যা, বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা এবং উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের উসকানিদাতা নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমার অপসারণ দাবিতে হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল।’
‘এরই মধ্যে হত্যার ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতিকে গ্রেপ্তার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনায় প্রশাসনের আশ্বাস ও অনুরোধে হরতাল প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’