বান্দরবান সীমান্তে গোলাগুলি, গ্রেনেড-রাইফেল উদ্ধার
বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তে আজ শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি রাইফেল, ২২২টি গুলি, সাতটি ম্যাগাজিনসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সীমান্তবর্তী দুর্গম অঞ্চলে সন্ত্রাস দমন অভিযানের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের অধিনায়কের নেতৃত্বে বাহিনীর সদস্যরা আজ সকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান চালান। এ সময় সীমান্তবর্তী সেপ্রুপাড়া থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলের পাহাড়ের অরণ্যে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০০টি গুলিবিনিময় হয়। সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা টিকতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাহাড়ের অরণ্যে সন্ত্রাসীদের এক গোপন আস্তানা থেকে একটি বিস্ফোরিত হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি রাইফেল গ্রেনেড, একটি অত্যাধুনিক মার্ক-২ রাইফেল, সাতটি ম্যাগাজিন, একটি ওয়াকিটকি সেট, রাইফেলের ২২২টি গুলি, দুটি ধারালো ছুরি, রাইফেল ম্যাগাজিন রাখার দুটি থলে (পাউচ), এসএমজি ম্যাগাজিন রাখার একটি থলে, সেনাবাহিনীর আদলে একসেট কমব্যাট পোশাক, একটি কমব্যাট ক্যাপ, একটি দড়ির তৈরি দোলনা-বিছানা (হ্যামক), খাবার বহনের একটি বিশেষ ব্যাগ (হ্যাভারসেক) ও কিছু নথি উদ্ধার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবানে সেনাবাহিনীর ৬৯ রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে জানান, সন্ত্রাস দমনে বান্দরবানের সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। আজ সকালে অভিযানের সময় রুমার সীমান্ত অঞ্চলে পাহাড়ের অরণ্যে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পালিয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। এ সময় সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানা থেকে হ্যান্ড গ্রেনেডসহ বিপুল অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য হতাহত হয়নি। পর্যটক নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর এ অভিযানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।