সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি অনাকাঙ্ক্ষিত : তথ্য মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন- সম্পাদক পরিষদের নামে মঙ্গলবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে দেওয়া বিবৃতি বাস্তবতাবিবর্জিত, সত্যের অপলাপ, পক্ষপাতমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে আজ বুধবার এ কথা বলা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশ যখন গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা ও সম্প্রসারমাণ যুগে প্রবেশ করেছে, তখন সম্পাদক পরিষদের নামে প্রদত্ত বিবৃতি দেশের সঠিক চিত্র প্রতিফলনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তথা তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের সম্পূরক। তাই সরকার গণমাধ্যমকে সক্রিয়, উন্মুক্ত ও গতিশীল রাখতে সদাসচেষ্ট।’
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা, ভিন্নমত, সরকারি কাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি বা কর্মকর্তাদের আইনবহির্ভূত কাজ বা দুর্নীতির বিষয়ে রিপোর্টিংয়ে সরকার কখনো কোনো বাধা দেয়নি। একইভাবে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ ও আলোচনায় সরকারের বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্যসহ অসংখ্য সমালোচনা করা হয়। সেখানেও সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বরং গণমাধ্যমের সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে সরকার প্রশাসনে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে সদাসচেষ্ট।
কোনো গণমাধ্যমের কোনো প্রকাশনা বা সম্প্রচার বিষয়ে সংসদ যদি আলোচনা বা সমালোচনা করে, তা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ নয় জানিয়ে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে আলোচনা করার অধিকার সংরক্ষণ করে সংসদ।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্মরণকালের মধ্যে এখন সবচেয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করছে। ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে গত ছয় বছর দুই মাসে সরকার গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপমূলক কোনো আইন প্রণয়ন করেনি।’
গতকাল মঙ্গলবার সম্পাদক পরিষদের এক সভা শেষে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, সংবাদপত্র ও জাতীয় প্রচারমাধ্যমের পক্ষে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। একদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে সংবাদপত্র ও প্রচারমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা চলছে।