বান্দরবানে যৌথবাহিনীর সদস্য নিহত, আহত ২
বান্দরবানের সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি হয়েছে। এতে যৌথবাহিনীর এক সদস্য নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার দুপুরে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের বড়তলী ইউনিয়নের সেপ্রুঝিড়ি এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গোলাগুলিতে নিহত হন আনসার সদস্য নেসং ম্রো (৩৮)। আহত হন সেনাবাহিনীর সৈনিক আবুল কাশেম ও আনসার সদস্য মো. হান্নান।
আহত দুজনকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে যৌথবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য পাঠানো হয়েছে।
যৌথবাহিনী সূত্রে জানা যায়, পাহাড়ের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বান্দরবান ও রাঙামাটির সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে। আজ সেপ্রুঝিড়িতে অভিযানের সময় যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে যৌথবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।
একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নেসং ম্রো নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আবুল কাশেম ও মো. হান্নান।
বান্দরবানের রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বান্দরবানের সীমান্তবর্তী রাঙামাটির বড়তলী ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক আনসার সদস্যের মৃত্যু এবং যৌথবাহিনীর দুজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি। সীমান্ত অঞ্চলে যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
জানতে চাইলে সেনা রিজিয়নের জিএসটু মেজর তৌহিদ বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাস দমন অভিযান চলছে। তবে সন্ত্রাসীদের গুলিতে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
গত শুক্রবার বান্দরবানের রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী সেপ্রুপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে দুটি গ্রেনেড, একটি অত্যাধুনিক মার্ক-২ রাইফেল, রাইফেলের সাতটি ম্যাগাজিন, ওয়াকিটকি সেটসহ বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।