বিএনপি দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণের চেষ্টা করছে
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত জামায়াত-বিএনপি অসংখ্য মানুষসহ গাড়ি ও জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে, গাছ কেটেছে, শহীদ মিনার ভেঙেছে। কিন্তু কোনটিতেই তারা জয়ী হতে পারেনি। সব ষড়যন্ত্র যখন ব্যর্থ হয়েছে তখন লন্ডনে বসে নতুন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশি হত্যা নয়, এখন বিদেশিদের হত্যা করে বিশ্বের কাছে প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে এই দেশ একটা অকার্যকর রাষ্ট্র, শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ।’
আজ রোববার দুপুরে লালমনিরহাটের ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর উন্নয়ন ও পরিচালনাবিষয়ক কমিটির প্রথম সভায়’ যোগ দিতে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হচ্ছে। সে কারণেই দেশ এখন নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। তাই যতই ষড়যন্ত্র হোক না কেন ষড়যন্ত্রকারীরে মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে প্রমাণ করতে হবে বাংলাদেশকে বর্তমান সরকার এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শাজাহান খান আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কাগজপত্রে ১২টি বন্দর ছিল, যার মধ্যে মাত্র দুটি স্থলবন্দর চালু ছিল। তবে গত সাত বছরে আমরা ২২টি বন্দর করেছি। যেখান থেকে এ পর্যন্ত ১০টি বন্দর সচল করতে পেরেছি এবং বাকি বন্দরগুলোও সচল করা হবে।
পায়রা বন্দর পৃথিবীর অনেক বন্দরের চেয়ে উন্নত হবে উল্লেখ করে নৌপরিবহনমন্ত্রী আরো বলেন, এখানে থাকবে বিমানবন্দর, নেভির সাবমেরিন, জাহাজ নির্মাণ জোন, অত্যাধুনিক নগর নির্মাণসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। ফলে এটা সম্পূর্ণভাবে চালু হলে আমরা সেখানে বড় বড় জাহাজ নিয়ে আসতে পারব।
“যখন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের রপ্তানি আয় ছিল তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন তা উন্নীত হয়েছে ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, ‘বাংলাদেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন ঘটেছে।’ তাই বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের দিকে সারা বিশ্ব বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।”
দুই বিদেশি হত্যায় ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও মন্তব্য করেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের হলরুমে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খানের সভাপতিত্ব সভায় আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহম্মেদ, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, রংপুরের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কাজী আসাদ আহম্মেদ, কাস্টমসের বিভাগীয় কমিশনার মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুডবল ফেডারেশনের চেয়ারম্যান কাজী সালাহ উদ্দিন, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার টি এম মুজাহিদুল ইসলাম, লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল বজলুর রহমান হায়াতী আহম্মেদ, পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল, পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর কুতুবুল আলম, বুড়িমারী স্থলবন্দর হ্যাল্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সফর উদ্দিন প্রমুখ।