চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগ নেতাকে হত্যার চেষ্টা
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সঙ্গে থাকা যুবলীগকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাঁর নাম জিল্লুর রহমান ওরফে জিলকার।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাত সাড়ে ১০টায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা যুবলীগ। এরপর রাত সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জপাড়ায় অবস্থিত যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিবরণ দেন জিপু চৌধুরী।
এ সময় আটক জিলকার সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার দায় স্বীকার করে জানান, যুবলীগের অপর পক্ষ তাঁদের টাকা ও অস্ত্র দিয়ে জিপুকে হত্যা করতে বলেছিল। এ জন্য তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
জিলকার জেলা যুবলীগের সাবেক কমিটির সদস্য নঈম হাসান জোয়ারদার সমর্থক বলে জিপুপক্ষের লোকজন জানিয়েছেন। নঈম হাসান জোয়ারদার দাবি করেছেন, জিলকার তাঁর লোক না। কে বা কারা হামলা চালিয়েছেন তিনি জানেন না।
জিপু চৌধুরী রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের জন্য ডিঙ্গেদহের দিকে যাচ্ছিলাম। আমাদের সাদা রঙের প্রাইভেটকারটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের ক্যান্টিনের সামনে এলে বিপরীত দিক থেকে দুটি মোটরসাইকেলে চেপে চারজন এসে গুলি চালায়। কিন্তু গুলি গায়ে লাগেনি। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দেয় এবং জিলকারকে ধরে ফেলে। উদ্ধার করা হয় তাঁদের মোটরসাইকেল।’
পরে সাংবাদিকদের সামনেই রাত সাড়ে ১২টার দিকে আটক জিলকারকে পুলিশে সোপর্দ করেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা করেছেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান। এতে আজিজুল হক ও জিলকারের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।