পান খাওয়ার কথা বলে শিশুকে ধর্ষণ
মানিকগঞ্জে এবার ষাটোর্ধ্ব এক মুদি দোকানির বিরুদ্ধে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি দুই দিন ধরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শিশুটির মা জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের মুদি দোকানি নুরুল শেখকে (৬২) আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নে বাবু সাহা (৩৭) নামের এক মুদি দোকানির ধর্ষণের শিকার হয় পাঁচ বছরের এক শিশু। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বাবুকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার ‘শিশুকে ধর্ষণ, দোকানিকে গণপিটুনি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দৌলতপুর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি ও তার স্বজনরা জানায়, নুরুল নিজ বাড়ির সামনে মুদি দোকান করেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির দুয়ারে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশু ও প্রতিবেশী এক শিশু (৮) খেলছিল। এ সময় দুই শিশু ছাড়া বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নুরুল পান খেতে আসেন। শিশুটি পান আনতে ঘরে ঢুকলে নুরুল ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।
এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন নুরুল। বাইরে থেকে উকি দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা দেখে প্রতিবেশীদের জানায় অন্য শিশুটি। ততক্ষণে নুরুল সটকে পড়েন। এরপর শিশুটির স্বজনরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরের দিন এ ঘটনায় শিশুটির মা থানায় মামলা করেন।
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবদুল মালেক জানান, শিশুটিকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনসুর হাবিব জানান, পুলিশ মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছে। আজ বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি ও সাক্ষী অন্য শিশুটিকে জবানবন্দি দিতে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত ১-এর বিচারক আবদুল হাইয়ের কাছে হাজির করা হয়। তারা দুজনই ঘটনার একই রকম বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে।
আর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসআই মনসুর।