লেখাপড়ার টাকা চাওয়ায় ছোট ভাইকে হত্যার পর গুম!
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের খাগড়াপুর এলাকার সেপটিক ট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার প্রভাকর ত্রিপুরা রানা (২৬) হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আটক প্রভাকরের বড় ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ তাঁর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত হাতুড়ি উদ্ধার করে। হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেই প্রভাকরকে হত্যা করা হয়েছিল। লেখাপড়ার জন্য টাকা চাওয়ায় এবং পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ না দিতেই চাকরির কথা বলে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ এম এম সালাহ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের বড় ভাইয়ের নিজ বাসার পেছনে নির্মাণাধীন একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রভাকর ত্রিপুরার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার পুলিশ। প্রভাকর ত্রিপুরা ঢাকার সরকারি বাঙলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি খাগড়াপুরের মৃত সুরেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাতে বড় ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরার বাড়িতে ঘুমান প্রভাকর। বুধবার সকাল থেকে তাঁর খোঁজ-খবর না পাওয়ায় এবং বাড়ির পেছনের দরজায় রক্তের দাগ দেখে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করলেও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে বড় ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরার বাসার পেছনে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাহউদ্দিন নিহতের ঘাড়, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা জানিয়ে বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। রহস্য উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হব।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বন্ধুবৎসল, ক্রীড়ানুরাগী প্রভাকর ত্রিপুরা রানার মৃত্যুর খবরে তাঁর বন্ধুমহলসহ স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর এ অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।