বাগেরহাটে ব্যবসায়ী হত্যায় তিনজনের যাবজ্জীবন
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় ব্যবসায়ী তুষার মোড়ল হত্যার ঘটনায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ফকিরহাট উপজেলার মৌভোগ এলাকার লিয়াকত শেখ, কাশেম শেখ ও ইমামুল ইসলাম ওরফে লিটন ওরফে দুলাল ওরফে রানা। এঁদের মধ্যে লিয়াকত শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
১৯৯৬ সালের ২২ মে বাগেরহাটের ডহর মৌভোগ এলাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির হাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবলসহ দুই খুনের মামলার প্রধান সাক্ষী ছিলেন তুষার মোড়ল।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, মৌভোগ এলাকার প্রয়াত জিল্লাল মোড়লের ছেলে তুষার মোড়ল। ১৯৯৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মৌভোগ বাজারে চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন তুষার। ওই সময় ১৫-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল তুষারকে গুলি করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে অস্ত্রধারীরা তুষারকে বেপরোয়াভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করতে করতে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই হত্যার পরদিনই তুষারের ভাই আজহার মোড়ল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ১৯৯৭ সালের ৫ অক্টোবর বাগেরহাটের পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক হাবিবুর রহমান ১২ জনের নামোল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেন। ওই আসামিদের মধ্যে এরই মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে প্রয়াত গণেশ ওরফে সোহেল ওরফে তপন ওরফে গণেশ পোদ্দার পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন।
মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন রশিদ, মোহন, সাঈদ, মনি, সবুজ ও নারায়ণ মণ্ডল।
মামলায় সরকারপক্ষে ছিলেন শেখ মোহাম্মদ আলী। আর আসামিপক্ষে ছিলেন জাহিদুল ইসলাম।