লালমনিরহাটে পানি কমেছে তিস্তায়, বেড়েছে ধরলায়
তিস্তা নদীর পানি কমায় লালমনিরহাটে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। তবে ধরলা ও রতনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সরকারি হিসাবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ২০ ইউনিয়নের ১৬ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহসান হাবিব জানান, বন্যাক্রান্ত লোকজনের জন্য এ পর্যন্ত ২৪৫ মেট্রিক টন চাল, শুকনো খাবারের দেড় হাজার প্যাকেট ও সাড়ে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মোগলহাট ইউনিয়নের ফলিমারী, খারুয়া ও ইটাপোতা গ্রামের বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী জানান, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুলাঘাট ইউনিয়নের বনগ্রাম, শিবেরকুঠি, চর শিবেরকুঠি, বোয়ালমারী চর ও আলোকদীঘি গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধু ভূষণ রায় জানান, বন্যায় জেলার ৩২৫ হেক্টর জমির রোপা আমন ও বীজতলা তলিয়ে গেছে।