কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে কাতরাচ্ছে হাসপাতালে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরী গৃহকর্মীকে (১৭) আট মাস ধরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা হুমায়ুন মিয়া (২২) সিলেট উপশহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রায় আট মাস আগে হুমায়ুন নিজ এলাকার ওই কিশোরীকে তাঁর বাসায় কাজের জন্য নিয়ে যান। একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন হুমায়ুন। এই আট মাসে একাধিকবার ধর্ষণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেয়েটি বিয়ের জন্য হুমায়ুনকে চাপ দিলে হুমায়ুন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার পরামর্শ দেন। কিন্তু মেয়েটি তা করতে না চাইলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন হুমায়ুন।
গত শনিবার মেয়েটি আবারও বিয়ের জন্য চাপ দিলে হুমায়ুন তাকে বেঁধে মারপিট করেন। এর একপর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পড়ে। রোববার ভোরে নির্যাতিত মেয়েটিকে নবীগঞ্জ উপজেলার বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান হুমায়ুন।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। সোমবার সকালে তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।
কিশোরীর মা বলেন, ‘আমাদের অভাবের সুযোগে হুমায়ুন মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। হুমায়ুন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য আমার মেয়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় এখন আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি, এখনো মামলা করা হয়নি। অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’