শরীয়তপুরে ভুয়া এসপি ও তাঁর সহযোগী আটক
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। এ ঘটনায় ভুয়া এসপি ও তাঁর সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের পাঁচকাঠি এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মোমেন বুধবার বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই ভুয়া এসপিসহ দুজনকে আটকের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়নের পাঁচকাঠি গ্রামের ভুয়া এসপি রাকিবুল ইসলাম হাওলাদার (৩২) ও তার সহযোগী ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের চরমালগাঁও বালিয়াকান্দি গ্রামের দেলোয়ার ব্যাপারী (৩৫)।
শরীয়তপুর ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার মডেরহাট দশমনতারা গ্রামের উজ্জ্বল হাওলাদারকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা দাবি করেন ভুয়া এসপি রাকিবুল। উজ্জ্বল তাঁকে পাঁচ লাখ টাকা দেন। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর চাকরি দিতে তালবাহানা শুরু করেন। পরে উজ্জ্বল জানতে পারেন রাকিবুল ইসলাম হাওলাদার নামে কোনো এসপি নেই। পরে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী উজ্জ্বলের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে গোসাইরহাট উপজেলার পাঁচকাঠি এলাকা থেকে রাকিবুল ও তার সহযোগী দেলোয়ার ব্যাপারীকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, প্রতারকরা উজ্জ্বল ছাড়াও একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আটকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শরীয়তপুরের এসপি আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আটকরা দুদকে ও শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা প্রতারণামূলকভাবে হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ছয় লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।’