নুসরাত হত্যা মামলায় পিবিআই প্রধানকে তলবের আবেদন নামঞ্জুর
ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারকে আদালতে তলবের জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু আগের আবেদনের শুনানি করলে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ তা নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিনের দাবি, গত ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বলেন, আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি যখন বক্তব্যটি দেন তখন আসামিরা পিবিআই হেফাজতে ছিলেন, তারা তখন জবানবন্দি দেয়নি। তার বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরদিন আসামি শামীম ও নূর উদ্দিনকে নির্যাতন করে জবানবন্দি আদায় করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাফেজ আহমদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহাজাহান সাজু আসামিপক্ষের আবেদনের তীব্র বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মামলায় তাঁর সাক্ষীর প্রয়োজনীয়তা নেই জানিয়ে আবেদন নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে আজ নুসরাতের দুই বান্ধবী নিশাত ও ফুর্তিকে পুনরায় জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আদালতে মামলার বাদী নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরার করার আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। আদালত তা মঞ্জুর করেন। সোমবার এ দুজনের পুনরায় জেরার দিন ধার্য করে আদালত বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মুলতবি করেন।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌন হয়রানির মামলা তুলে না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল নুসরাতকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।