বাগেরহাটে গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় রুহুল আমিন হাওলাদার (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১-এর বিচারক মো. জাকারিয়া এ রায় দেন। ওই সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শরণখোলা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের রুস্তুম হাওলাদারের মেয়েকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন একই এলাকার ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে। সে অনুযায়ী, ইসমাইলের ছেলে রুহুল তাঁর ছোট ভাইয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। কিন্তু রুস্তুম হাওলাদার সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এ নিয়ে বিরোধ চলছিল রুস্তম হাওলাদার ও ইসমাইল হাওলাদারের পরিবারের মধ্যে। এরই জেরে ২০১২ সালের ২ মে দুপুর ১২টার দিকে রুস্তুম হাওলাদারের ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেন রুহুল।
ওই হত্যার পর প্রতিবেশীরা রুহুল হাওলাদারকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে শরণখোলা থানায় ফরিদা বেগমের বোন আলেয়া বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় শরণখোলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেফাতুল ইসলাম ২০১২ সালের ৮ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত আজ রায় দেন।
মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন কাজী মনোয়ার হোসেন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আলী আকবর।