পিকআপের ধাক্কায় বেরোবি শিক্ষার্থী আহত, সড়ক অবরোধ
পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক গেটের সামনে পার্কের মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
আহত মেহেদী হাসান রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেহেদীর কনুয়ের পাশের একটি হাড় ভেঙে গেছে। এ ছাড়া কোমরে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থী মেহেদী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। ফোর লেন সড়কে সতর্ক হয়েই তিনি রেখে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ উল্টোদিক থেকে নিয়ম ভঙ্গ করে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাঁকে প্রচণ্ড বেগে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সহপাঠীরা তাঁকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার পর পরই রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও যানবাহন ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে এ পথে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহীনুর রহমান ও পুলিশের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ সময় প্রক্টর মুঠোফোনে রংপুর সড়ক প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল্লাহ-আল-মামুনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রকৌশলী খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। আগামী রোববারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দুটি গতিরোধক তৈরির আশ্বাসও দেন প্রকৌশলী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। এ ছাড়া আগামী সোমবার তিনি নিজে বেরোবিতে এসে ওভারব্রিজসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিদাওয়ার কথা শুনবেন বলে কথা দেন। এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী সোমবার থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানান।
বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
এ মহাসড়কে রাস্তা পারাপারের বিষয়ে বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা আফরিন এনটিভিকে বলেন, ‘আমরা যারা প্রতিনিয়ত রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পার্কের মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপার হচ্ছি, তারা অনুধাবন করতে পারি প্রত্যেকটা যানবাহন কতটা বেপরোয়াভাবে ত্রিমুখী রাস্তার বাঁকগুলো অতিক্রম করে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক মনে করেন, এলাকার সবার কথা বিবেচনা করে এখানে ওভারব্রিজের ব্যবস্থা করা উচিত।