৬০টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়েছিলেন ঐশী
হত্যার আগে বাবা-মাকে ৬০টি ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো কফি খাইয়েছিলেন ঐশী। রাসায়নিক পরীক্ষায় ঘুমের ওষুধে নাইট্রাস, টেনিন ও ট্রমাজিপাম-৩-এর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে।
সস্ত্রীক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, ঐশী একাই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। মা স্বপ্না রহমানের ব্রোঞ্জের চুড়িতে লেগে থাকা রক্তের সঙ্গে ঐশীর রক্তের মিল পাওয়া গেছে।
হত্যা মামলায় গত বছরের ৯ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতুব্বর।
ঐশী ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা ছিলেন তাঁর বন্ধু আসাদুজ্জামান ওরফে জনি, মিজানুর রহমান ওরফে রনি ও গৃহকর্মী সুমি আকতার।
দুটি অভিযোগপত্রের মধ্যে একটিতে ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অন্যটিতে গৃহকর্মী সুমি আকতারের বিরুদ্ধে শিশু আইনে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
গৃহকর্মী সুমি আকতার ও ঐশী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সুমি শিশু হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার বিচারকাজ ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ কিশোর আদালতে হচ্ছে।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান দম্পতির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পরের দিন তাঁদের মেয়ে ঐশী গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।