চাতালে চাতালে শুঁটকির কারখানা
অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বর্ষা হয়েছে বেশি। তাই নদী বা খালে দেশি মাছের উৎপাদনও বেড়েছে কয়েক গুণ। উৎপাদন বাড়ায় জেলেদের সঙ্গে সঙ্গে খুশি শুঁটকি তৈরির কারিগর আর চাতাল মালিকরাও। কেননা, বেশি মাছ মানেই বেশি শুঁটকি আর বেশি লাভ।
তাই মাছ সংগ্রহের কাজ চলছে নাটোরের বিস্তীর্ণ চলনবিলজুড়ে। সে সঙ্গে চলনবিলের বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে শুঁটকি তৈরির ধুম। জেলার সিংড়া,গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, সদরসহ চলনবিলের অন্তত ১৪টি পয়েন্টে অস্থায়ী চাতাল নির্মাণ করে এসব শুঁটকি মাছ তৈরি করা হচ্ছে। অস্থায়ী এ চাতালগুলোতে মাছ সংগ্রহ,রোদে শুকানো,বাছাই, প্রক্রিয়াজাতকরণসহ নানা কাজে মহাব্যস্ত চাতাল মালিক থেকে শুরু করে মৌসুমি শ্রমিকরাও।
গত মৌসুমে এ জেলায় যেখানে ২০ টন শুঁটকি উৎপাদিত হয়েছে, এ বছর তার পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে আশা মৎস্য বিভাগের। চলনবিলে দীর্ঘ সময় পানি ধরে রেখে মাছের উৎপাদন বাড়ানো গেলে শুঁটকি মাছের উৎপাদনও বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
নাটোরে শুঁটকি তৈরি নিয়ে বিস্তারিত দেখুন হালিম খানের ভিডিও প্রতিবেদনে :