ইলিশ রক্ষায় শরীয়তপুরে ১৪২ জনকে এক বছর করে সাজা
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ আহরণ এবং ক্রয়-বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ, মৎস্য বিভাগ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পৃথক পৃথকভাবে পরিচালিত একাধিক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় শরীয়তপুরের নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও গোসাইরহাট উপজেলায় ১৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১৪২ জনকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও দেড় হাজার কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়।
নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন আনোয়ার ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশ গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টায় অভিযান শুরু করে। টানা ছয় ঘণ্টা পরে সকাল ৮টায় অভিযান শেষ হয়। এ সময় মাছ ধরার অপরাধে ৬০ জন ও মাছ কেনার জন্য যাওয়া পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট কাফি বিন কবিরের ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রেপ্তার হওয়া ৬৫ জনকে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।
অন্য দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী ও জাজিরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের সহযোগিতায় আজ ভোর ৪টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৃথক আরেকটি অভিযান চালানো হয়। এ সময় আরো ৬৫ জনকে ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান গ্রেপ্তার হওয়া ৬০ জনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পাঁচজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অপর আরেক অভিযানে একই অপরাধে ভেদরগঞ্জে ১৩ জন ও গোসাইরহাটে চারজনকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পৃথক পৃথক এই অভিযানে চার উপজেলা থেকে প্রায় দুই লাখ মিটার কারেন্ট জাল এবং দেড় হাজার কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।