সেই নবজাতককে বাঁচানো গেল না
কুষ্টিয়ায় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধারের পর চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি সেই নবজাতককে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার শিশু হাসপাতালে মারা যায় শিশুটি।
নবজাতকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আল আমিন ও সুমি দম্পতি। আল আমিন মুঠোফোনে এনটিভি অনলাইনকে জানান, শিশুকে পেয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সুমি খুবই খুশি হয়েছিলেন। শিশুকে বাঁচানোর জন্য সাধ্যের মধ্যে সব রকম চেষ্টা করেছেন তাঁরা। কিন্তু গতকাল রাতে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শিশুটি মারা যায়।
আল আমিন আরো জানান, ঠান্ডা এবং ক্ষতস্থানে সংক্রমণের কারণে শিশুটি মারা গেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার জোহরের নামাজের পর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে শিশুটিকে দাফন করা হয় বলে জানান আল আমিন।
গত রোববার ভোরে কুষ্টিয়া শহরতলির বটতৈল মোড়ে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে একটি মোটর গ্যারেজের পেছন থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই নবজাতককে উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর রাতে শিশুর মা বা তাঁর স্বজন প্রসবের পর নবজাতককে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়।
এ নিয়ে রোববার এনটিভি অনলাইনে ‘জন্মের পরপর নবজাতক পরিত্যক্ত স্থানে’ শিরোনামে ছবিসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
উদ্ধারের পর নবজাতককে প্রথমে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা একদিনের ওই শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নিঃসন্তান দম্পতি আল আমিন ও সুমি বেগম বাবা-মা হওয়ার আশায় শিশুর দায়িত্ব নিয়ে পর্যায়ক্রমে তাকে রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঢাকার শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।