আ. লীগ নেতার গাড়িবহরে ‘ছাত্রলীগের’ হামলা
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলামের গাড়িবহরে রামগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সোনাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেদুসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বহরে থাকা চারটি মোটরসাইকেল। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ রয়েছে, দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। যদিও ছাত্রলীগ এ ধরনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এনিয়ে সোনাপুর ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম দেড় শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে ঢাকা থেকে হাজীগঞ্জ হয়ে রামগঞ্জ আসছিলেন। দুপুরে লক্ষ্মীপুরে কমিউনিটি পুলিশের সম্মেলনে যোগ দিতে রামগঞ্জে আসেন তিনি।
শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ির সামনে থাকা মোটরসাইকেলগুলো সোনাপুরে পৌঁছালে রামগঞ্জ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন রাজু ও ছাত্রলীগ নেতা সুমনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ৩০-৪০ নেতাকর্মী হামলা চালায়।
এ সময় রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লেদু, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম জুয়েল, হেলাল দেওয়ানসহ ১৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ভাঙচুর করা হয় চারটি মোটরসাইকেল। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, রামগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহানের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নেতাকর্মীদের মধ্যেও রয়েছে বিভক্তি। বেশ কয়েকবার দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শফিকুল ইসলাম রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
হামলার ব্যাপারে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন রাজু বলেন, ‘শফিকুল ইসলামের গাড়িবহরের সামনে থাকা নজরুল ইসলাম লেদু কমিশনার সোনাপুরে দাঁড়িয়ে শাহজাহান ও রুহুল আমিন ভাইকে প্রকাশ্যে গালমন্দ করেছে। সেখানে উপস্থিত আমাদের নেতাকর্মীরা তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে।’
শফিকুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় ছাত্রলীগ নেতা নোমান, শোভন ও বাপ্পি আহত হয়েছে বলে দাবি করেন শাখাওয়াত হোসেন রাজু।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, লাঠিসোটা নিয়ে লোকজন জড়ো হলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে শফিকুল ইসলামকে পুলিশি নিরাপত্তায় গন্তব্যে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে জানান ওসি তোতা মিয়া।