তর্কের মাঝে বন্ধুকে হত্যার পর কিশোরের আত্মহত্যা!
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুজন আলী (১৭) নামের এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কলেজছাত্রের বন্ধু পলাশকে (১৭) পুলিশ ও স্থানীয়রা একটি ঘরে আটকে রাখে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেও আত্মহত্যা করে বলে জানায় পুলিশ।
আজ রোববার সকালে উপজেলার হরিপুর এলাকায় এ দুই কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুজন আলী হরিপুরের মবেরের মোড় এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ও আমলা সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। পলাশ চুয়াডাঙ্গার শালদা গ্রামের মৃত মিন্টুর ছেলে। হরিপুরে তার নানার বাড়ি। মাঝে মাঝে সে এখানে বেড়াতে আসে। সেই সূত্রেই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে সুজন বাড়ি থেকে বের হয়ে হরিপুর বাজারে আসে। সেখানে পলাশের সঙ্গে সুজনের কোনো একটি বিষয় নিয়ে তর্ক হয়।
একপর্যায়ে পলাশ ঘটনাস্থলের পাশে থাকা কাঠমিস্ত্রির দোকান থেকে ধারালো বাটাল নিয়ে সুজনের বুকে, পেটে ও গলায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। সুজনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রওনা দেয়। পথেই তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন এনটিভি অনলাইনকে জানান, সুজনকে আঘাত করার পর পলাশ জনরোষে পড়ে। এ সময় সে দৌড়ে স্থানীয় নানার বাড়িতে গিয়ে একটি ঘরে লুকিয়ে পড়ে। তখন এলাকাবাসী ঘরটি ঘিরে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
‘পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পলাশকে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বলে। দীর্ঘক্ষণ সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় এবং কোনো ধরনের সাড়াশব্দ না পাওয়ায় পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে। তখন ঘরের আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে সুজনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।’
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় পাঁচটি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। দুটি লাশই ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।