কনস্টেবলের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী সীমা খাতুনের (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সীমা খাতুনের মৃত্যু হয়। শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার বাসা থেকে সীমার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ শনিবার সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সীমার পরিবারের লোকজন দাবি করেছে, নির্যাতন করে সীমাকে হত্যা করা হয়। তবে পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা সীমার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল সুমনুর রহমান সুমনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। সুমন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বাদবাড়ি ক্যাম্পে কর্মরত। সুমন চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড পাড়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে সীমা সদর উপজেলার জালশুকা গ্রামের বাসিন্দা।
সীমা খাতুনের ভগ্নিপতি হাবিবুর রহমানের দাবি, সুমন পুলিশ সদস্য হলেও ছিলেন মাদকাসক্ত। যৌতুকের জন্য দফায় দফায় চাপ সৃষ্টি করায় সীমার সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হয়। গত শুক্রবার রাতে দুজনের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সীমাকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এবং আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়।
১০ বছর আগে সীমা ও সুমনের বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি ছেলেসন্তান আছে বলে জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।