জয়পুরহাটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই শিবির নেতাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছাত্রশিবিরের দুই নেতাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আওলাই ইউনিয়নে ওসমানের কবরস্থানের পাশের বাগানে এ ঘটনা ঘটে।urgentPhoto
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে কুসুম্বা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাইল ইসলামকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় একটি শাটারগান, চারটি রামদা ও একটি চায়নিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয় বলে দাবি পুলিশের।
গুলিবিদ্ধ তিনজন হলেন জেলা শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী, সেক্রেটারি ওমর আলী ও জামায়াতের সদস্য আল আমিন।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় একজন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধের পর একটি শাটারগান ও কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্লা নজরুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ জামায়াত-শিবির নেতাদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইসমাইল, জাহাঙ্গীরসহ আহত তিন পুলিশ সদস্যকে পাঁচবিবির মহীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে র্যাব সদস্যরা দুটি বিদেশি রিভলবার, ২১টি ককটেল ও ছয়টি দেশে তৈরি হাতবোমাসহ জেলা শিবিরের সভাপতি আবুজার গিফারী ও সেক্রেটারি ওমর আলীকে আটক করেছিল। আটকের পর র্যাব পাঁচবিবি থানায় সোপর্দ করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।
ওসি আরো জানান, পাঁচবিবি থানায় জিজ্ঞাসাবাদে শিবিরের দুই নেতা জানান, প্রতি রাতেই তাঁরা নাশকতার পরিকল্পনার জন্য গোপনে গ্রামের নিভৃত স্থানে একত্র হয়ে বৈঠক করতেন। পরে তাঁদের দেওয়া ওই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আজ ভোররাতে ওসমানের কবরস্থানের পাশে অভিযানে যায় পুলিশ। ওই সময় ওত পেতে থাকা জামায়াত-শিবিরকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে আবুজার ও ওমরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় আত্মরক্ষায় বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি ছুড়ে। এতে জামায়াত-শিবিরের তিন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন পুলিশের তিন সদস্য।