মাধবদীতে আ.লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে অবিস্ফোরিত ককটেল!
নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে তিন ককটেল নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত হয়নি।
আজ সোমবার দুপুরে মাধবদী বাজারের সোনালি টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক।
লিখিত বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গতকাল রোববার রাতে নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে পৌর এলাকার বিরামপুর কুয়েতি মসজিদসংলগ্ন মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উঠান বৈঠকে বিএনপির প্রার্থী হাজি মো. ইলিয়াছের সন্ত্রাসীরা পরপর তিনটি ককটেল নিক্ষেপ করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ককটেলগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক অভিযোগ করেন, হাজি ইলিয়াছ পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আরিফ, তাঁর ভাই শরীফ, অস্ত্র মামলার আসামি শাহীন, বোমা রানা ওরফে ভাগিনা রানা, সেলিম ওরফে বোমা সেলিমসহ সন্ত্রাসীদের দিয়ে তাঁর নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁর কর্মীদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন। সর্বশেষ ইলিয়াছের হুকুমে যেসব সন্ত্রাসী তাঁর উঠান বৈঠকে হামলা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান মোশাররফ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন ভূঞা, সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফর আলী ভূঞা, মাধবদী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ ও নরসিংদী চেম্বারের পরিচালক আলী হোসেন শিশির প্রমুখ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধবদীতে বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হাজি মো. ইলিয়াস বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা সাজানো হয়েছে। তাঁরা আমার পরিশ্রমী নেতা-কর্মীদের চিহ্নিত করে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনের পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা চলছে।’
পলাশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তাহের দেওয়ান জানান, ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করে। এদের মধ্যে দুটি ককটেল ছিল। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে একই সঙ্গে থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।