আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শুরু
চার দিন বিরতি দিয়ে আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ৫১তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আগামী ১৭ জানুয়ারি, রোববার দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) বাদ ফজর তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়। ১০ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে।
এবারই প্রথমবারের মতো দেশের মোট ৩২টি জেলা নিয়ে ইজতেমার দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছরের বিশ্ব ইজতেমা বাকি ৩২ জেলা নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বে অংশ নিয়েছে ঢাকার একাংশসহ ১৭টি জেলার তাবলিগ অনুসারীরা।
১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বলতে গেলে নিয়মিতই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মুসল্লিদের চাপ কমাতে ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমাকে দুই পর্বে বিভক্ত করা হলে ওই বছরই প্রথম দুই দফায় বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে এ ধারায় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ইজতেমা মাঠের দায়িত্বে নিয়োজিত মুরব্বি গিয়াসউদ্দিন জানান, তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে প্রতিবছর এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ইজতেমায় দেশি মুসল্লি ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ থেকেই তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা অংশ নিয়ে থাকেন। প্রতিবারের মতো ইজতেমা মাঠের উত্তর-পশ্চিমাংশে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষভাবে টিনের ছাউনির মাধ্যমে পৃথক কামরা তৈরি করা হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানসংলগ্ন শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান জানান, বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপট ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল বিবেচনা করে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজি) মাইনুর রহমান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, এবার পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য ইজতেমাস্থলে মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছেন। এ ছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্যকে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে।