ইজতেমায় দুই পর্বে ১৫ মুসল্লির মৃত্যু
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের দিন পর্যন্ত দুই বিদেশিসহ মোট ১৫ জন মুসল্লি মারা গেছেন।
জানা গেছে, ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে এক বিদেশিসহ মোট ছয় মুসল্লি মারা গেছেন এবং এর আগে প্রথম পর্বে এক বিদেশিসহ মারা যান ৯ মুসল্লি।
টঙ্গী মডেল থানার পুলিশ, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক, টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল ও লাশঘর সূত্রের বরাত দিয়ে আজ রোববার বার্তা সংস্থা বাসস এ তথ্য জানিয়েছে।
মৃত ১৫ মুসল্লির মধ্যে ১৩ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিনে মৃত মুসল্লিরা হলেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে নূরুল আলম (৭০)। তিনি রাত পৌনে ১১টার দিকে নিজ খিত্তায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। একই রাতে মারা যান আবদুল মাবুদ জোয়ারর্দার (৫২)। তিনি চুয়াডাঙা সদরের বাদুরতলা এলাকার একরামুল হক জোয়ারদারের ছেলে।
নিজ খিত্তায় অসুস্থ হয়ে মারা যান জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীর থানার চর আদরা গ্রামের জাবেদ মোল্লার ছেলে আব্দুল কাদের (৬০) ও আবু তাহের (৪০) তাঁর বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জে।
ইজতেমা ময়দানে তাঁদের জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় মরদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাশের জিম্মাদার মো. আদম আলী।
এদিকে প্রথম পর্বে এক বিদেশিসহ ইজতেমা মাঠে নয়জন মারা যান।
তাঁরা হলেন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক পুর্নম সোপান ওরফে সোফা হাজি (৬৫)। সিলেটের মো. আলাউদ্দিন (৭০), নোয়াখালী জেলার সুন্দরপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৬০)।
সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার রনকালি এলাকার জয়নাল আবেদীন (৫৫), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চকলাপাড় গ্রামের নূরুল ইসলাম (৭২) ও নাটোরের সিংড়া উপজেলার বটিয়া গ্রামের ফরিদ উদ্দিন (৬৫)।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের কাজীপুর এলাকার কাসিম উদ্দিনের ছেলে দলিলুর রহমান (৭৫) ও একই জেলার ভেন্নাবাড়ি থানার হরিনারায়ণপুর গ্রামের মীর হোসেন আকন্দের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০) ও হাফেজ আবু বকর (৬০) । তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার আলীপুর গ্রামে।