বিধবাপল্লীকে ‘বীরকন্যা পল্লী’ করার প্রস্তাব
১৯৭১ সালের ২৫ জুলাই ভোরে রাজাকার, আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছিল শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সোহাগপুর গ্রামে। ওই দিন সোহাগপুরের ১২০ জন পুরুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন অনেক নারী। এর পর থেকে সেই গ্রাম ‘বিধবাপল্লী’ হিসেবে পরিচিত।
গতকাল বৃহস্পতিবার সেই বিধবাপল্লীতে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে গিয়েছিল সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। সেখানে এক সমাবেশে ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদ বিধবাপল্লীর নাম পাল্টে ‘বীরকন্যা পল্লী’ করার প্রস্তাব করেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আজকে থেকে এই পল্লীর নাম হবে বীরকন্যা পল্লী। এখানে কোনো বিধবা নেই,...এখানে বীরকন্যারা থাকেন, যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সে জন্য এই গ্রামের নাম আপনারা আজ থেকে পাল্টে দিয়ে আর কেউ বিধবাপল্লী বলবেন না। বলবেন বীরকন্যা পল্লী। সমগ্র জাতি জানবে, এখানে বীরকন্যারা বসবাস করেন।’
সমাবেশে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দালাল আইন বাতিল করায় সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীরা ছাড়া পেয়েছিল।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে ১২ জানুয়ারি দালাল আইন করেছিলেন। ওই আইনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের শনাক্ত ও বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। ১১ হাজার ৭৫২ জনকে শনাক্ত করে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। সে সময় ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছিল।
সফিউল্লাহ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনো শেষ হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ না হলে দেশের মানুষ শান্তি পাবে না।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব বলেন, পাকিস্তানকে অবিলম্বে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে। আর তা না হলে সরকারকে পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।