নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী বলেছেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে। আগামী ২৮ মার্চের আগেই দেশে প্রায় চার হাজার পৌনে তিনশ ইউপিতে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষণ করবেন। 

আজ সোমবার বিকেল ৪টায় মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে তাঁর সভাকক্ষে আসন্ন ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।

জাবেদ আলী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে ছয়টি ধাপে নির্বাচন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা আগামী ২ মার্চে প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। এর আগে কেউ তা পারবেন না। কারণ বর্তমানে ছেলেমেয়েদের এসএসসি পরীক্ষা চলছে।  ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

এ সময় নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে। দেশে এখন প্রায় ১০ কোটি ভোটার রয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এবং কেউ যেন কোনো জাল ভোট দিতে না পারে আর ভোটারদের মধ্যে যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের ভোট যেন কেউ দিতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার অনুরোধ করেন। 

নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনে আহ্বান জানিয়ে জাবেদ আলী বলেন, নির্বাচনের মোট ব্যয়ের তিন ভাগের দুই ভাগই খরচ করা হয় এই বাহিনীর পিছনে। আর বাকি এক ভাগ ব্যয় হয় সার্বিক খরচে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ, জেলার ৬৮টি ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ছয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ছয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)।