এমপি লতিফের পক্ষে চট্টগ্রামে সাত এমপির বিবৃতি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার ঘটনায় চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ লতিফের পক্ষাবলম্বন করে বিবৃতি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাত সংসদ সদস্য।
আজ বুধবার সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংসদ সদস্যরা এ ঘটনার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী লতিফের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতিকারী হিসেবে আত্মস্বীকৃত ডিজাইনারের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে এম এ লতিফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ ও তাঁকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, যদি কোনো তরুণ যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আঘাত করে, যদি এতে তাঁর মৃত্যু হয়, তাহলে নির্দেশদাতা হিসেবে অপরাধী হতে আমি রাজি আছি। মামলায় আমাকে প্রথম আসামি করতে পারবেন।’ মহিউদ্দিন চৌধুরী কাঠগড়ায় যেতে রাজি আছেন- কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের মন্তব্য অসম্ভব। এই বক্তব্যের মাধ্যমে একদিকে তিনি দলীয় শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং অন্যদিকে দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের সমতুল্য।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এম এ লতিফ দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, তাঁর বিরুদ্ধে কারো কোনো বক্তব্য থাকলে দলীয় ফোরামে অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ উত্থাপন না করে লালদীঘি মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কূরুচিপূর্ণ ও দৃষ্টান্তপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করা সরাসরি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং পাগলের প্রলাপ বলে অভিহিত করেন সংসদ সদস্যরা। এতে তাঁরা দলীয় ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকারক কর্মকাণ্ড থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ আসনের সংসদ সদস্য সামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহাফুজুর রহমান মিতা।
গত সোমবার লালদীঘি মাঠে নাগরিক মঞ্চের সমাবেশে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে কুলাঙ্গার ও পাকিস্তানি চর উল্লেখ করে চট্টগ্রাম থেকে তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এম এ লতিফ তাঁর শরীরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাথা বসিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করেছেন।’ এ সময় তিনি চট্টগ্রামে চলাফেরার সময় এম এ লতিফের মৃত্যু হলে অঘটনের নির্দেশ দাতা ও প্রধান আসামি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন।