ইসির আইনশৃঙ্খলা বৈঠক ৩ মার্চ
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আগামী ৩ মার্চ বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত ইসির উপসচিব সামসুল আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব পুলিশের মহা পরিদর্শক, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স, মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক, কোস্ট গার্ড, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার ও ভিডিপি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কাছে পাঠানো হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৩ মার্চ বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে ওই দিন সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৬৩৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় সাত হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৭ জন করে পুলিশ ও আনসারের ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ফোর্স রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ১৯ জন করে। অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রেই ফোর্স থাকছে এক লাখ ২০ হাজারের মতো।
তবে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কার্যপত্রে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় র্যাব,আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং সীমিত পরিসরে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীকে ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছিল। এবার পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে একটি করে মোট ৬৩৮টি ভ্রাম্যমাণ ফোর্স, প্রতি তিন ইউপির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে প্রতি উপজেলায় দুটি করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ দল ও একটি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি উপজেলায় দুই প্লাটুন ভ্রাম্যমাণ বিজিবি ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। আবার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতি উপজেলার জন্য কোস্টগার্ডের দুই প্লাটুন ভ্রাম্যমাণ ফোর্স ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে, যারা ভোটের দুই দিন আগে থেকে পরে একদিন মোট চারদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে চার হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ২৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। এ হিসেবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সব ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।