লালমোহনের ২ ইউনিয়নে প্রচারের সময় সংঘর্ষ, আহত ২৫
ভোলার লালমোহনে নির্বাচনী প্রচারকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর লালমোহন ইউনিয়নের ফুলবাগিচা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মিজানুর রহমান কামরুলের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেনসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় আহতদের ১০-১২ জনকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বদরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুন নাহার সুমীর প্রচারকালে তাঁর স্বামী জাফর আহমেদ জয়ের প্রচারবহরে হামলা চালিয়ে আলাউদ্দিন নামে এক কর্মীকে মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার বিকেলে লালমোহন ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান কামরুলের পক্ষে মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট চেয়ে এলাকায় মহড়া করে মিছিল করা হয়। এ সময় ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ওই মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় কামরুলের চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, কর্মী আবদুর রশিদ, তারেক, আরিফ, সোহাগ, রনি, নীরব প্রমুখ আহত হন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘মোটরসাইকেল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল বহিরাগত ও বিএনপির লোকজন নিয়ে হঠাৎ ফুলবাগিচা বাজারে এসে গালিগালাজ করে তাণ্ডবলীলা চালায়। এতে আমার পাঁচ কর্মী আহত হয়। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুন নাহার সুমির নির্বাচনী প্রচারকালে তাঁর স্বামী জাফর আহমেদ জয়ের বহরে হামলা হামলা চালানো হয়েছে।
জাফর আহমেদ জয় অভিযোগ করেন, শনিবার সন্ধ্যার পর বদরপুর ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই তাঁর লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে তাঁর কর্মী আলাউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কী আর করব, সবই তো আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এক গ্রুপ হচ্ছে বিদ্রোহী আর অপর গ্রুপ হচ্ছে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার। আমাদের কী আর করার আছে।’