নলছিটিতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর আ. লীগের হামলা
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা উঠান বৈঠক চলাকালে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ‘বিদ্রোহী’ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান হাওলাদার। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হন বলে দাবি করেছেন প্রার্থী।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে বুড়িরহাট এলাকার রশিদ মাস্টারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল ৫টার দিকে বুড়িরহাট এলাকার রশিদ মাস্টারের বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ মিজানুর রহমান হাওলাদারের উঠান বৈঠক চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধার ভাই নাসির মৃধা লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটুনি শুরু করে তারা।
এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক মানিক হাওলাদার, আবুল কালাম, উজ্জ্বল, শামসুল হক, নান্নু হাওলাদার, জলিল উদ্দিনসহ ২০ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। হামলার সময় স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়।
মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় ভেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বিভিন্ন স্থানে তাঁর প্রচারকাজে বাধা দিচ্ছেন। প্রচারণার প্রথম দিনেই তাঁর প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়। আজও হামলা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা বলেন, ‘কারা হামলা করেছে, তা আমার জানা নেই। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচারকাজে ব্যস্ত আছি।’
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।