পৌরসভার কার্যালয়ে যুবলীগ নেতার তালা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার বাজার পরিদর্শকের কক্ষে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। পৌরসভার হাটবাজার ও পরিবহন টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন ইরান ও তাঁর লোকজন পরিদর্শকের কক্ষে তালা দেয়। লিয়াকত হোসেন অভিযোগ করেন, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের পাটোয়ারী গোপনে নিজের পছন্দের লোককে ইজারা দিচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, পৌরসভার ২২টি গ্রুপে হাটবাজার ও পরিবহন টার্মিনালগুলোর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এক সপ্তাহ থেকে আগ্রহীরা পৌরসভার বাজার পরিদর্শকের কক্ষে গিয়েও দরপত্রের ফরম কিনতে কাউকে পাননি।
অভিযোগ ওঠে, গত বুধবার গোপনীয়তা রক্ষা করে পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী ও কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন ওরফে এসপি দেলু নিজেদের পছন্দের লোকজনকে পাতানো দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দেন। ওই দিন দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল।
যুবলীগ নেতা লিয়াকত হোসেন ইরানের নেতৃত্বে কর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজার পরিদর্শকের কার্যালয়ের প্রায় এক ঘণ্টা তালা ঝুলিয়ে রাখে।
এ ব্যাপারে পৌরসভার বাজার পরিদর্শক আবদুর রহিম জানান, তাঁর কক্ষে তালা দেওয়ার সময় তিনি কার্যালয়ের বাইরে ছিলেন। কয়টি দরপত্র ফরম ও দাখিল হয়েছে এবং কত টাকার দরপত্র জানতে চাইলে তিনি তা জানাতে পারেননি।
যুবলীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘পৌরসভা কার্যালয়ে কোনো দরপত্র বিক্রি করা হয়নি। পৌর মেয়র ও কয়েকজন কাউন্সিলর নিজেদের পকেট ভারী করতে গোপনে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এরই প্রতিবাদে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌরসভার একটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।’
রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, তিনি ঢাকা অবস্থান করছেন। কার্যালয়ে তালা ঝোলানোর বিষয়টি কেউ তাঁকে জানায়নি। দরপত্রের বিষয়ে দুপুরে যুবলীগ নেতা লিয়াকতের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান। তবে গোপনে দরপত্র প্রক্রিয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।