চুয়াডাঙ্গায় মেয়রের সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গা শহরে ভুলু (২০) নামের এক কসাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় আকাশ (২২) নামের আরেক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়।
আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের মাস্টারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তবে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি।
নিহত ভুলু পৌরসভার জ্বীনতলাপাড়ার খবিরের ছেলে। আর আহত আকাশ একই পাড়ার বাবলুর ছেলে। তাঁরা দুজনই চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নতুন মেয়র ওবায়দুর রহমান জিপু চৌধুরীর সমর্থক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ভুলু ও আকাশ বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এই দুই বন্ধু শিশুস্বর্গ পার্কের কাছে পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে করে আসা তিন যুবক অতর্কিতে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এরপর তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভুলু ও আকাশকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুর ১টায় সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান ভুলু। আকাশকে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ওয়ালিউর রহমান।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন সদর হাসপাতালে যান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দুই ঘণ্টার মাথায় টাউন ফুটবল মাঠের সামনে অবস্থিত শয়নবিলাস নামক আবাসিক হোটেলে ঝটিকা অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘বিবদমান দুই পক্ষের পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত আকাশের কাছ থেকে হামলাকারীদের নাম জানা গেছে। মামলার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে বিশেষ বিশেষ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
নিহত ভুলু ও আহত আকাশ দুজনেই যুবলীগ-ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ওবায়দুর রহমান জিপু চৌধুরী জানান, বিগত পৌর নির্বাচনে ভুলু ও আকাশ তাঁর পক্ষে কাজ করেছিলেন।
ওবায়দুর রহমান জিপু চৌধুরী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন জোয়ার্দার টোটনকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।