খালেদা জিয়াকে এক চুলও ছাড় নয় : তথ্যমন্ত্রী
আসন্ন সিটি করপোরেশন ‘নির্বাচনে অংশ নিক আর না নিক, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মামলা’ থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে রাজাকার, আগুন-সন্ত্রাসের সরকার আর হতে দেওয়া যাবে না।’
আজ শনিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, মালিথাপাড়া, শামুখিয়া গ্রামের প্রায় আড়াইশ গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম যেটা কাজ করেছি, বাজারটা ধাক্কা মেরে ঠাণ্ডা করে দিছি। ঠিক না? আর সারের দাম এক ঝটকায় কমাইয়া দিছি। একই দেশ, শেখ হাসিনা সারের দাম ও বাজার ঠাণ্ডা রাখতে পারল, আর খালেদা জিয়া পারল না, কেন? শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়াকে যাঁরা একপাল্লায় মাপার কথা বলেন, শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া দুই নেত্রী সমান সমান-এটা ভুয়া, ডাহা মিথ্যা কথা।’
‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে অন্ধকারে রেখেছিল, আর শেখ হাসিনা আলোতে এনে দিছে। খালেদা জিয়ার সময় সারের দাম ছিল আকাশের সমান, আর শেখ হাসিনা আইসা কমাইয়া দিছে। খালেদা জিয়া পাগল না। খালেদা জিয়া অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। যে জন্য দেশের কথা চিন্তা না করতে পারেন নাই। বিদ্যুতের কথা চিন্তা করতে পারেন নাই, সারের কথা চিন্তা করতে পারেন নাই, বাজারের কথা চিন্তা করতে পারেন নাই। ওনার নজরটা ছিল বস্তার দিকে। বস্তা বুঝছেন না? অর্থাৎ উনি আর ওনার বেটা চুরি-চামারি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আর মানুষকে কীভাবে মারবে এটা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। হাসিনারে মারো, কিবরিয়ারে মারো, সন্ত্রাস করো, মাজারে বোমা মারো, স্কুল-কলেজ পুড়িয়ে দাও, বিচারককে পিটিয়ে মারো, শহীদ মিনার ভাঙো। ওনার যে এক থেকে ছয় সাল উনি এই কাজগুলো করছেন না?’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী একটি সংবাদপত্র জনতার সামনে তুলে ধরে বলেন, ‘বলছেন কি, নির্বাচনে অংশ নিলেও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। খুব মজার কথা বলছেন না? নির্বাচনে অংশ নিলেও আগুন-সন্ত্রাস অব্যাহত থাকবে। তার মানে, শয়তানি চলতে থাকবে। আমি পরিষ্কার কথা বলতে চাচ্ছি, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিক, আর না নিক, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকে তাঁকে এক চুলও ছাড় দেওয়া হবে না।’
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কুষ্টিয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রীর স্ত্রী জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রিনা, মিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজাদ জাহান, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল রেজা, কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মখলেছ গনি, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, জাতীয় পার্টি-জেপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।