৭ বছর পর বড় ঝড়ের কবলে চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বয়ে যাওয়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। বিভিন্ন বিভাগ ক্ষতি নিরূপণে মাঠে নেমেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গায় সাত বছর পর এ ধরনের বড় ঝড়ের কবলে পড়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি ও আলমডাঙ্গা উপজেলার মাজহাদ গ্রামের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, আলমডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহমেদ কামরুল হাসান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্য্যান কাজী অরুণ।
এদিকে মাজহাদ গ্রামে দেয়ালচাপায় নিহত মহিরন নেছার লাশ আজ সকাল ১০টার দিকে দাফন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেন এবং সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আলমডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুতের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুপুর ১টার দিকে চারটি ফিডারের সবকটিই পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। তবে ধান, কলা, পানবরজ, ভুট্টা, আম, লিচু, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন জানান, ১১ কেভির পাঁচটি পোল ভেঙে পড়াসহ বেশকিছু পোল হেলে পড়েছে ও তার ছিঁড়ে গেছে।