অগ্নিসংযোগকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : ভূমিমন্ত্রী
চলমান অবরোধ ও হরতালের সময় ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগকারী সব সন্ত্রাসীর নিজের ও বাপ-দাদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। আজ মঙ্গলবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, এর আগে এ দেশে অনেক সংগ্রাম হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে। কখনো শোনা যায়নি, ভূমি অফিসে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সরকার বদলের নামে তাদের স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য এ ধরনের ন্যক্কারজনক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এটা মূলত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র। তারা আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ করতে চেয়েছে এ রাষ্ট্রটি অকার্যকর। তাদের অপকৌশল জনগণের কাছে আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে।
ভূমি অফিস পোড়ানো একটি ধ্বংসাত্মক ও জঙ্গিবাদী কাজ উল্লেখ করে শামসুর রহমান শরীফ বলেন, ভূমি অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে পরিচ্ছন্নভাবে ভূমি অফিস সুরক্ষার জন্য পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ভূমি অফিস সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় সব জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ‘স্থাপনা সুরক্ষা কমিটি’ এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে ‘গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন’ করা হচ্ছে।
এ সময় বিএনপি-জামায়াতের চলমান আন্দোলনের সমালোচনা করে ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, গণতান্ত্রিক অধিকারের সীমারেখার বাইরে গিয়ে তারা যে জঘন্য আন্দোলন চালিয়েছে তা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। বাসের ভেতর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, ভূমি অফিস আগুন ধরিয়ে দেওয়া, স্কুল-কলেজের পরীক্ষা বন্ধ করে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে একটি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী আতঙ্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কফিনে সর্বশেষ পেরেক বিদ্ধ করেছে খালেদা জিয়া ও জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা।
আইনের শাসন বাস্তবায়নে এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশপ্রেমিক জনগণ ও পুলিশ প্রশাসনই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ।