স্বজনপ্রীতিতে ৫২ হাজার টাকা কর কমে হলো ২০০ টাকা
লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় অস্বাভাবিক হারে বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কর নির্ধারণ ও পুনর্বিবেচনা নিয়ে পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
‘অস্বাভাবিক হারে কর বৃদ্ধি, মেয়রের স্বেচ্ছাচারিতা ও নাগরিকদের হয়রানির প্রতিবাদে’ আজ শনিবার দুপুর ১২টায় শহরের শাঁখারিপাড়া এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এ কে এম বদরুল আলম শাম্মী। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদপ্রার্থী।
তবে মেয়র আবু তাহের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ীই কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে নাগরিকরা খুশি। কারো কোনো আপত্তি থাকলে তা শুনানির মাধ্যমে সমাধান করা হয়।
প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের নাগরিকরা কর নিয়ে চরম হয়রানির শিকার উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এ কে এম বদরুল আলম শাম্মী বলেন, ‘যে ব্যক্তি গত বছর ১০০ টাকা পৌরকর পরিশোধ করেছে, এবার তার কর বেড়ে হয়েছে আট হাজার টাকা। আমি নিজে গত বছর এক হাজার টাকা কর দিয়েছি। এবার ধরা হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। আবার এক রাজনৈতিক নেতার বাড়ির কর ৫২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তিনি মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তা হয়ে গেল মাত্র ২০০ টাকা। এ ছাড়া স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে কয়েক ব্যক্তির কর মওকুফও করা হয়েছে।’
এ কে এম বদরুল আলম শাম্মী আরো বলেন, পৌরসভার মেয়রের খামখেয়ালিপনা ও স্বেচ্ছাচারিতা পরিহার করে নতুন করে সহনীয় কর নির্ধারণ করে নাগরিকদের হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে হবে।
এ ছাড়া পৌরসভা এলাকার কাঁচাঘর ও সাধারণ কর্মজীবীদের করের আওতার বাইরে রাখার দাবি জানান এ আওয়ামী লীগ নেতা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলনের পাশাপাশি আদালতের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।