চুয়াডাঙ্গায় স্টেনোগ্রাফারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় বিচারকের শাস্তি দাবি
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে স্টেনোগ্রাফার ফিরোজ মিয়াকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অসদাচরণের অভিযোগে ওই আদালতের বিচারক নাজির আহমেদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারীরা।
আদালতের কর্মচারীরা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ করে জেলা ও দায়রা জজ শিরিন কবিতা আক্তারকে বিস্তারিত জানান। এর পর তাঁরা দুপুরে লিখিতভাবে জেলা ও দায়রা জজের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেন।
আহত ফিরোজ মিয়া জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাজির আহমেদ একটি মামলার ডিকটেশনে ভুল থাকায় তাঁকে পেপার ওয়েট দিয়ে মারেন। এতে ফিরোজ মিয়ার বুকের ডান পাঁজরে লাগে এবং জখম হন। এ ছাড়া তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে ফিরোজ মিয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
বিষয়টি কর্মচারীদের মধ্যে জানাজানি হলে দুটি আদালতের দেড় শতাধিক তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা সমবেত হয়ে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের কাছে নালিশ করেন।
কর্মচারীদের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তা সহকারী মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘স্টেনোগ্রাফার ফিরোজ মিয়াকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ঘটনাটি জেলা ও দায়রা জজকে জানানোর পাশাপাশি সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হয়। ওই বিচারকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে জেলা জজের মাধ্যমে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মতিউল আশরাফ জানান, লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন এবং বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজকে অবহিত করানো হবে।