জাল ভোটের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৮
লক্ষ্মীপুরে রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় জাল ভোটের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে সোনাপুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
সোনাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার তপন কুমার চক্রবর্তী জানান, বহিরাগতরা ভেতরে গিয়ে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মারে। বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেনকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন।
এ ছাড়া বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট গ্রহণ ১১টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। এরপর ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার কিছু সময় পর রামগঞ্জের কাঞ্চনপুরের পূর্ব বিগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় জাল ভোট ও কেন্দ্র এলাকায় বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে রায়পুরের সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম জুসানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আটজনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হলে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ততটা দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি নির্বাচন এলাকায় টহল দিচ্ছে।