শেরপুরে পাঁচ কেন্দ্রে পুলিশের গুলি, আহত ২০
তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরুর প্রথম ভাগেই শেরপুর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ব্যালট ছিনতাই এবং ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা চলেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
দুপুর ১২টা পর্যন্ত সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নের ৫টি কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ অন্তত ৪০ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে। গুলি ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
আজ দুপুরে ভোট গ্রহণ চলাকালে কামারের চর লতারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে আহত হয় অন্তত পাঁচজন। এর পর পরই চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও গুলি ছোড়ে পুলিশ।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম জানান, দুপুরে বলাইর চর ইউনিয়নের পাইকুড়তলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যালট ছিনতাই করার চেষ্টা করলে গুলি চালায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়তে হয় পুলিশকে।
এর আগে সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর পরই চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এখানে আহত হন অন্তত পাঁচজন। এ কেন্দ্রটিতে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতেও দখল এবং দখল ঠেকানো নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ছাড়া সকালে চরশেরপুর ইউনিয়নে যোগিনীমুড়া কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘দুই-একটি জায়গায় সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। তবে পরিস্থিতি কোথাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’
শেরপুরের ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সবকয়টিকেই ঝুকিপূর্ণ হিসেবে গণ্য করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কেন্দ্রকেই সমান ভাবে দেখছি। কোনো কেন্দ্রেই যাতে কোনো রকম ঝামেলা না হয় তার জন্য আমরা সতর্ক আছি।’